Summer Newsletter for Bangladeshis in Kensington, Brooklyn + Participatory Budgeting!

Shahana Hanif
10 min readSep 17, 2018

*Scroll for Bangla/নীচে বাংলা (translation by Sohel Mahmud)

This is Shahana Hanif, Director of Organizing and Community Engagement, writing to you from the Office of NY City Council Member Brad Lander. I pray my message finds you in positive spirit. This summer was a busy but delightful one spent working full-time at the City Council. I’ve had the privilege of meeting and talking to many of you during my Wednesday office hours at Dr. Saboor’s Office at 486 McDonald Avenue. If we’ve not met, you should stop by!

What do I do?

A part of my work is to ensure Bangladeshi immigrants in our district (a growing 20%!) have access to city services and needs-based programming. There are a lot of services that our community is eligible for, but just doesn’t know about. In addition to helping with direct service needs, I focus on our community organizing responsibility. As the largest Bangladeshi enclave in Brooklyn, it is our duty to be informed and organize in response to immigration and other policy changes that affect us, and make sure we have a voice and are represented in city politics. More than many of us realize, these policies impact our access to affordable homes, jobs, education, community development, and basic services for children, women, and the elderly. They impact our ability to make a better life for our families.

Some highlights from this Summer in Kensington include:

June:

  • Avenue C Plaza celebrated Immigrant Heritage Month, packed with programming curated by ArtBuilt Mobile Studio and Arts & Democracy. During Ramadan, we broke our fast together over poetry.
  • A cohort of Bangladeshi seniors graduated a Computer Basics course designed and taught in Bangla and led by an organization called Older Adults Technology Services (OATS). We have renewed funding for OATS to offer this course in 2019.
With our graduates!

July:

  • Over the course of five days, close to 300 community members enrolled for an NYC municipal photo ID. I am working with the Mayor’s Office of Immigrant Affairs for round two of pop-up enrollment in Kensington!

August:

  • Congratulations to Russell Hasnat, our newest Community Board 12 member. I am proud to be able to push for more Bangladeshis on to our Community Board.
  • Planning and preparation for Participatory Budgeting ideas collection!

Ongoing Activities:

  • CUNY Citizenship Now! Attorney Shawn Rahman and I provide a free immigration and legal services clinic twice monthly. We are excited to expand our services in the Fall to reach more community members.
District 39 constituent Mohammed Bhuiyan is an American citizen!

Participatory Budgeting Cycle 8 is LIVE this Fall!

We are in the 8th year of Participatory Budgeting (PB), otherwise known as The People’s Budget! This message applies to those in Council District 39 represented by City Council Member Brad Lander. Do you know who your Council Member is? It is important for you to know who your elected representative is to stay involved with issues relevant to you and your community. You can find out by visiting https://council.nyc.gov/districts/.

PB is a yearlong initiative that depends on the active involvement of you and your neighbors. It is an opportunity for you to propose and decide how over $1.5 million should be spent to improve your neighborhood: in schools, parks, libraries, streets, and more. If you have an idea as to how to improve Kensington, this is your chance to make it happen — and we have many people to help you.

How has PB helped the community?

Thanks to PB money, PS 230 school has air conditioning, sidewalks on the Church Avenue and McDonald Avenue intersections (where all of our prized businesses and restaurants are) are extended for reduced crossing distances (you may remember the construction from this summer), and the Community Center in the Kensington Library was renovated. New trees in the Kensington neighborhood were also funded by PB. Last year, a workshop series to teach immigrants, Muslim women and their allies self-defense techniques was a huge hit and received the second highest votes! These are just a few examples of projects funded in the Kensington area. There are many more PB funded projects around the District, and you can see what a big impact it has on our community and neighbors. Again, all of the projects were proposed by community members — and many of your ideas could make it on the ballot!

How can you get involved?

The first step is to attend a Neighborhood Assembly. This is where residents come together to brainstorm and share ideas for needed projects. After ideas are presented, interested volunteers meet and research each idea, including the costs and specifics of every proposed project.

Details of the suggested projects are reviewed, finalized, and presented at a big event called the Participatory Budgeting Expo in the weeks before the vote. Finally, residents from across the District come out to vote for their favorite projects, and together we collectively decide which of the proposed projects will get funded.

Your Involvement is Crucial!

While many Bangladeshis vote during Vote Week (March/April) at our local mosques, restaurants, on Avenue C Plaza, online, they often do so without knowing what PB is and can do for them. As part of my work in our community, I want to make sure Bangladeshis are engaged in PB from the start, beginning with the Ideas Collection phase (September/October).

To make sure you are included, this year we are hosting a Bangladeshi-only Neighborhood Assembly on Monday, October 1st, from 6–9p at PS 179 (202 Church Avenue). Secondly, we are using the support of Shetu, a Bangladeshi-American community-based organization, to make sure we get the word out. They’ll be in our neighborhood during September talking to neighbors about PB and collecting ideas. If you’d like to, you can also submit ideas online at www.pbnyc39.com. And as always, you can call me directly at 718–499–1090 or email shanif@council.nyc.gov.

I leave you to think about what the innovative changes you’d like see in your neighborhood that would improve your life and the lives of those around you.

ব্রুকলিনের ডাইরি আসুন শুরু করি

নিউ ইয়র্ক সিটির অন্যতম ব্যস্ত বরো হচ্ছে ব্রুকলিন। আর এখানকার ব্যস্ততম এলাকা হচ্ছে সিটি কাউন্সিলের নির্বাচনী এলাকা ৩৯ ডিস্ট্রিক্ট। কেনসিংটন হিসেবেই যেটিকে আমরা চিনি। এই এলাকায় জনগণের ভোটে নির্বাচিত একজন সিটি কাউন্সিল মেম্বার আছেন, যিনি জনগণেরই দেখভালের কাজ করেন। তাদের জন্য সিটিতে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন, এলাকার নানাবিধ অবকাঠামোগত ও সামাজিক উন্নয়নে কাজ করেন।

৩৯ ডিস্ট্রিক্টে কাউন্সিল মেম্বার হিসেবে পর পর দুই বারের জন্য দায়িত্ব পালন করছেন ব্র্যাড ল্যান্ডার। তিনি তার এলাকার মানুষের জন্য কি কাজ করেন? তার দায়িত্বটাই বা কি? সিটি কাউন্সিলে তিনি কিভাবে এলাকার সমস্যা আর সম্ভাববনাকে তুলে ধরেন? এলাকার উন্নয়নে একজন কাউন্সিল মেম্বারের ভূমিকা কি? স্টেট কিংবা ফেডারেল সরকারে একজন কাউন্সিল মেম্বারের গুরুত্ব কতটুকু? এমন নানা কৌতূহল আছে এই এলাকার মানুষের মাঝে।বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত শাহানা হানিফ কাজ করেন নিউ ইয়র্ক সিটি কাউন্সিলে, সংযুক্ত আছেন কাউন্সিল মেম্বার ব্র্যাড ল্যান্ডারের অফিসে, ডিরেক্টর অব অর্গানাইজিং এন্ড কমিউনিটি এনগেজমেন্ট পদে। তিনি লিখেছেন তার অফিসের সবশেষ কিছু কর্মকাণ্ড নিয়ে। জনপ্রতিনিধির কর্মকাণ্ডকে জনগণের কাছে তুলে ধরার প্রয়াস এটি।

আমার এবারের গ্রীষ্মকালটা যাচ্ছে বেশ ব্যস্ততায়। সিটি কাউন্সিল অফিসে প্রচুর কাজের মাঝেও আমি বেশ উপভোগ করছি আপনাদের সাথে আমার সাক্ষাতের মুহূর্তগুলোকে। বিশেষ করে, ৪৮৬ ম্যাকডোনাল্ড এভিনিউতে ডা. সবুর খানের অফিসে বুধবার আপনারদের সাথে সাক্ষাতের জন্য আমার যে খণ্ডকালীন অবস্থান, সেটি সত্যিই আমাকে অনেক উচ্ছ্বসিত করে। আপনার যে কোন প্রয়োজনে আমি এই নির্দিষ্ট দিনে আছি এখানে, আপনারই কাছাকাছি। আজই আসুন।

আমার কাজ কি?

এই ৩৯ ডিস্ট্রিক্টে বসবাসরত বাংলাদেশী অভিবাসীরা (ক্রমবর্ধমান ২০ শতাংশ!) যাতে সিটির সেবা আর প্রয়োজনভিত্তিক কর্মসূচিগুলো সহজে হাতের নাগালে পায়, সেটি নিশ্চিত করাই হচ্ছে আমার কাজের একটা অংশ। আমাদের জনসমাজের (কমিউনিটির) জন্য সিটির অনেক সুযোগসুবিধা বরাদ্দ আছে, আমরা অনেকেই এটা জানি না। সরাসরি সেবাসুবিধার প্রয়োজনে, আমি আমাদের জনসমাজের নিজেদের সংগঠিত হবার কর্তব্যবোধে জোর দেই। ব্রুকলিনে বাংলাদেশীদের সবচেয়ে বড় এলাকার বাসিন্দা হিসেবে আমাদের প্রয়োজন অভিবাসন এবং আমাদের ওপর প্রভাব পড়ে এমন সব নীতিমালায় পরিবর্তন বিষয়ে জেনে রাখা, সাথে নিজেদের সংগঠিত করা। শুধু তাই নয়, একইসাথে নিশ্চিত করা যে, আমাদের বলার শক্তি আছে, প্রতিবাদের ভাষা আছে, সিটির রাজনীতিতে আমাদেরও প্রতিনিধিত্ব আছে। আমাদের অনেকেই বুঝতে পারেন যে, পরিবর্তিত নীতিমালাগুলো আমাদের সাশ্রয়ী আবাসন, চাকরি, শিক্ষা, জনসমাজ উন্নয়ন, এবং শিশু, নারী ও বয়োবৃদ্ধদের জন্য মৌলিক সেবাগুলোকে প্রভাবিত কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের পরিবারের জন্য একটা উত্তম জীবনব্যবস্থা গড়ে তোলার সক্ষমতাকে আঘাত করে।

এই গ্রীষ্মে আমাদের কর্মকাণ্ডের খানিকটা:

জুন:

  • এভিনিউ সি প্লাজায় অভিবাসীদের ঐতিহ্য বিষয়ে ‘ইমিগ্র্যান্ট হেরিটেজ মান্থ’ পালিত। মাসজুড়ে সেখানে একটি ভ্রাম্যমাণ গাড়ি রাখা ছিলো, যেটির মাধ্যমে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সীদের কাছে অভিবাসীদের ঐতিহ্য তুলে ধরার প্রয়াস ছিলো। আর্টবিল্ট মোবাইল স্টুডিও এবং আর্ট এন্ড ডেমোক্রেসি নামের দু’টি সংগঠন এই কর্মসূচি পরিচালনা করে। এই কর্মসূচি উপলক্ষ্যে গেলো রমজানে, এলাকার সব বয়সী রোজাদারদের জন্য একটা এখানে আমরা ইফতারির আয়োজন করি। তাতে, অন্তত ৬টি মুসলিম দেশের খাবার পরিবেশনের মধ্য দিয়ে আমরা এক জাতির সাথে অন্য জাতির সংস্কৃতির খানিকটা পরিচয় করিয়ে দিতে চেষ্টা করেছি।
  • বয়স্ক বাংলাদেশীদের একটা দল কম্পিউটার বিষয়ে মৌলিক জ্ঞানের একটা কোর্স সম্পন্ন করেছেন এই গ্রীষ্মে। কোর্সটি ছিলো বাংলায়। আর এটি পরিচালনা করে ওল্ডার এডাল্টস টেকনোলজি সার্ভিসেস (OATS) নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এই কোর্সের সাফল্য দেখে এই প্রতিষ্ঠানকে ২০১৯ সালে একই ধরণের কার্যক্রমের জন্য তহবিল বরাদ্দ করা হয়েছে।

জুলাই:

  • এই এলাকার বাসিন্দাদের জন্য নিউ ইয়র্ক সিটির পরিচয়পত্র গ্রহণ সহজ করতে আমরা চার্চ-ম্যাকডোনাল্ড এভিনিউ এলাকায় ৫ দিনের জন্য একটি কর্মসূচি হাতে নেই। আইডিএনওয়াইসি প্রকল্পের ভ্রাম্যমাণ গাড়ি এই এলাকায় এনে সাধারণ মানুষের সিটি পরিচয়পত্র বানানোর জন্য শ্রম ও সময় সাশ্রয়ের বিশেষ ব্যবস্থা করি। এতে প্রায় ৩শ’ এলাকাবাসী ছবিসম্বলিত সিটি আইডি বানিয়ে নিতে পেরেছে। কেনসিংটনে এমন দ্বিতীয় আরেকটি কর্মসূচি করার ব্যাপারে মেয়র’স অফিস অব ইমিগ্র্যান্ট এফেয়ার্সের সাথে আমি কাজ করছি।

আগস্ট:

  • কমিউনিটি বোর্ড ১২তে নতুন সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আমাদের এলাকারই রাসেল হাসনাত। তাকে স্বাগত জানাচ্ছি।
  • এলাকার মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাজেট তৈরির কর্মসূচি ‘পার্টিসিপেটরি বাজেটিং’ এর জন্য প্রস্তাব ও ধারণা সংগ্রহ কার্যক্রমের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি চলছে।
  • এখন যে কর্মকাণ্ডগুলো চালু আছে:
  • আমি আইনজীবী শাওন রহমানকে নিয়ে মাসে দুইদিন বিনা খরচে অভিবাসন ও যে কোন আইনী বিষয়ে সেবা দিয়ে আসছি। আসছে শরৎকালে, এই কার্যক্রমের পরিধি আরো বাড়বে। আশা করি, আমরা আরো বেশি এলাকাবাসীকে সুযোগ দিতে পারবো।

অংশগ্রহণমূলক বাজেট তৈরি: অষ্টম ধাপ আসছে এই শরতে

এলাকার উন্নয়ন পরিকল্পনায় জনগণের মতামত চাওয়া, তাদের ভোটে উন্নয়নপ্রকল্প নির্ধারণ করার প্রক্রিয়ার আইনগত কোন বাধ্যবাধকতা না থাকলেও জনগণের ইচ্ছেকে মূল্য দিতে ৮ বছর ধরে কাউন্সিল ডিস্ট্রিক্ট ৩৯ এ সিটি কাউন্সিল মেম্বার ব্র্যাড ল্যান্ডারের প্রতিনিধিত্বে এমন ব্যবস্থায় আমরা ঠিক করছি আমাদের উন্নয়ন-করণীয়। এমন পদ্ধতির নাম ‘পার্টিসিপেটরি বাজেটিং’, সংক্ষেপে পিবি। জনগণের বাজেট বলতে পারেন একে।

এলাকার জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে আপনি শুধু যে ভোট দিয়ে নিজের দায়িত্ব শেষ করলেন, তা কিন্তু নয়। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনপ্রতিনিধিকে জবাবদিহিতার অধীনে রাখাটাও কিন্তু আপনার দায়িত্ব। আপনি যে এলাকায় থাকেন, সেখানকার নানা সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন, সেটির উন্নয়নে একজন কাউন্সিল মেম্বার কিভাবে কাজ করেন, সেটিতে আপনার নজরদারি থাকাটাও জরুরি। এমন নজরদারি আপনার জন্যেতো বটেই, জনসমাজ আর এলাকার জন্য, সেইসাথে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সুসংহত করার জন্য খুব প্রয়োজন। তাই, নজরদারি বাড়ান।

‘পার্টিসিপেটরি বাজেটিং’ হচ্ছে বছরব্যাপি একটা উদ্যোগ, যা আপনার এবং আপনার প্রতিবেশীর সক্রিয় অংশগ্রহণের ওপর নির্ভরশীল। দেড় মিলিয়ন ডলারেরও বেশি পরিমাণ অর্থ আপনার এলাকার স্কুল, পার্ক, লাইব্রেরি, রাস্তা কিংবা আরো আরো খাতের উন্নয়নে কিভাবে খরচ করা উচিত যে বিষয়ে প্রস্তাব করা এবং সিদ্ধান্ত দেয়ার একটা সুযোগ তৈরি করে দেয় এই ‘পার্টিসিপেটরি বাজেটিং’। কেনসিংটনের উন্নয়ন কিভাবে করা যায়, এ বিষয়ে আপনার যদি নির্দিষ্ট কোন ধারণা থাকে, সেটি প্রকাশ করুন। আপনাকে এ ব্যাপারে সাহায্য করতে প্রস্তুত আছি আমরা অনেকেই।

‘পার্টিসিপেটরি বাজেটিং’ এ জনসমাজ কিভাবে উপকৃত হয়েছে?

পিএস টু থার্টিতে শীতাতপ যন্ত্র লেগেছে। চার্চ এভিনিউ আর ম্যাকডোনাল্ড এভিনিউ’র সংযোগস্থলে চৌমোহনায় (যেটি সব গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কারণে জনারণ্য) রাস্তায় পথচারী পারাপারের দূরত্ব যে কমেছে, নজরে এসেছে কারোর? এই গ্রীষ্মে কিন্তু এই জায়গায় দিনরাত নির্মাণকাজ হয়েছে। কেনসিংটন লাইব্রেরিতে কমিউনিটি সেন্টারের সংস্কার হয়ে গেলো এই সেদিন। কেনসিংটন এলাকায় নতুন নতুন যে গাছ লাগানো হয়েছে, তাও হয়েছে এই পার্টিসিপেটরি বাজেটিং এর অর্থে। গত বছর, অভিবাসী, মুসলিম নারী এবং তাদের সহযোগীদের আত্মরক্ষা কৌশল শেখানোর জন্য যে একগুচ্ছ কর্মশালার প্রস্তাব এসেছিলো পার্টিসিপেটরি বাজেটিং এ। সেটি সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছিলো মানুষের আর ভোটও পেয়েছিলো দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক। এগুলো কেনসিংটন এলাকায় অর্থায়িত প্রকল্পগুলোর কয়েকটির উদাহরণ মাত্র। ৩৯ ডিস্ট্রিক্টজুড়ে পার্টিসিপেটরি বাজেটিং এর মাধ্যমে এমন আরো অনেক প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে, আপনারা লক্ষ্য করলে হয়তো বুঝতে পারবেন যে, এগুলো আমাদের এবং এলাকার জীবনমানে অনেক ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। আবারো বলছে, এসবে আপনাদেরই অবদান। আপনারা প্রস্তাব দিয়েছেন, ভোট দিয়েছেন বলে এসব করা সম্ভব হয়েছে।

পার্টিসিপেটরি বাজেটিং এ কিভাবে সম্পৃক্ত হবেন?

প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে নির্দিষ্ট দিনে ও সময়ে এলাকারবাসীর জমায়েতে (নেইবরবহুড এসেম্বলিতে) যোগ দেয়া। যেখানে এলাকায় বসবাসরত অনেকেই যোগ দিয়ে নিজেদের প্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলো নিয়ে আলোচনা করেন, মাথা খাটান, ধারণা তৈরি করেন, প্রস্তাব দেন। এগুলো উপস্থাপনের পর স্বেচ্ছাসেবীরা প্রত্যেকটা ধারণা নিয়ে কাজ শুরু করেন, গবেষণা করেন। প্রাক্কলিত ব্যয় আর নানা খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ কওে সেই ধারণাকে একটি প্রকল্পের আকার দেন।

এই প্রকল্পগুলো আবার আপনাদের সামনে তুলে ধরা হয় ভোটের জন্য। সেই ভোটে যাবার সপ্তাহ কয় আগে, ‘পার্টিসিপেটরি বাজেটিং এক্সপো’ নামে একটা আয়োজনের মাধ্যমে প্রকল্পের বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়। সেখানেই সেটি চুড়ান্ত করার মধ্য দিয়ে উপস্থাপিত হয়। এরপর ভোটের পালা। কয়েকদিন ধরে, ৩৯ ডিস্ট্রিক্টজুড়ে নানা কায়দায় ভোট দিয়ে নিজেদের পছন্দের প্রকল্পগুলো নির্বাচন করেন আপনারা। প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলোর কোন কোনটিতে অর্থায়ন হওয়া প্রয়োজন আপনারাই সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নেন।

আপনাদের অংশগ্রহণ খুব গুরুত্বপূর্ণ

গত পার্টিসিপেটরি বাজেটিং ভোট সপ্তাহে (মার্চ/এপ্রিল) বাংলাদেশী জনসমাজের অনেকেই স্থানীয় মসজিদ, রেঁস্তোরা, এভিনিউ সি প্লাজায় কিংবা অনলাইনে ভোট দিয়েছেন। অথচ, তাদের অনেকেই জানেন না পার্টিসিপেটরি বাজেটিং কি, অথবা এটা তাদের কি উপকারে আসতে পারে। স্থানীয় জনগণের সাথে আমার কাজের অংশ হিসেবে, আমি আশস্ত হতে চাই এবং সাথে নিশ্চিত করতে চাই যে, বাংলাদেশীরা সবাই পার্টিসিপেটরি বাজেটিং এর শুরু থেকে এটি নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠবেন। ‘ধারণা সংগ্রহ পর্যায়’ থেকে (সেপ্টেম্বর/অক্টোবর) এতে নিজেদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবেন।

আপনাদের অন্তর্ভূক্তি নিশ্চিত করতে আগামী ১লা (পহেলা) অক্টোবর ২০২ চার্চ এভিনিউতে পিএস ওয়ান সেভেনটি নাইনে (চঝ ১৭৯) বিকেল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবারই প্রথম শুধুমাত্র বাংলাদেশীদের জন্য একটি ‘নেইবরবহুড এসেম্বলি’র আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়াও, পার্টিসিপেটরি বাজেটিং কার্যক্রমে শুরু থেকে আপনাদের অংশগ্রহণ আরো জোরদার করতে সেতু নামে বাংলাদেশী-আমেরিকান জনসমাজভিত্তিক একটি সংগঠনের সহায়তা নিচ্ছি আমরা। তারা সেপ্টেম্বরে আমাদের এলাকায় থেকে সবার সাথে তাদের ধারণা ও প্রস্তাব নিয়ে কথা বলবেন, সেগুলো সংগ্রহ করবেন। চাইলে আপনি আপনার ধারণা অনলাইনে জমা দিতে পারেন। অথবা, আমাকে সরাসরি কল করতে পারেন ৭১৮-৪৯৯-১০৯০ নম্বরে।

চাইলেই আপনি বদলে দিতে পারেন নিজের এলাকার চালচিত্র। আপনার ইতিবাচক সিদ্ধান্তে শুধু যে আপনিই উপকৃত হবেন, তা কিন্তু নয়। পাল্টে যাবে আপনার প্রতিবেশির জীবনধারা। সাথে, আপনার প্রতিবেশও।

আসুন, শুরু করি।

--

--